কিছু কথা কিছু ব্যথা যায়না বলা যথা তথা
মোকতেল হোসেন মুক্তি


কৈশরের অনেক স্রিতিই অতলে হারিয়ে যায়। বুকের গহনে হাতিয়ে সব খুজে পাওয়া
যায়না। তবু যে টুকু স্বরন করতে পারবো সেটুকুই লিখতে চেষ্টা করবো।
৬৭
৬৮ সালে বংগবন্ধু আওয়ামীলীগ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা অসহযোগ আন্দোলন
ছাত্রলীগের জ্বালাও পোড়াও ধনিতে উত্তাল নিষ্পেষিত পুর্ব পাকিস্তান।
রাজনীতিগত কোন ধারনা নেই। তবু বন্ধুদের সাথে শ্লোগান মিছিলে সামিল হয়ে
বাড়ীতে গিয়ে ভাই ও বাবার পিটানি খেতাম। মা গোপনে ভাত খাওয়াতেন আর নিষেধ
করতেন " বাবা তুই সং
সারের ছোট ছেলে সবার আদরের। তুই লেখা পড়া করবি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবি যা এই বংশের মধ্যে কেউ হতে পারেনি।
বাস! দুই তিন দিন লেখা পড়া বন্ধ!
রাতে শুনতে পেলাম বাড়ীর সামনের পুকুর পার দিয়ে মিছিল যাচ্ছে " তোমার নেতা
আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব বাস দৌড়। সে মিছিলের সাথে শ্লোগান দিতে দিতে
চলে গেলাম মাদারিপুর কাপানো ৬৯ এর গন অভ্যন্থানের আপোষহীন ছাত্রনেতা আজকের
মুজিব বাহিনীর হাবিবুর রহমান আজাদের গ্রাম স্নানঘাটা। যেখানে কেউ আমাকে
চিনেনা এবং আমিও কাউকে চিনিনা। একটা বাংলা ঘরে মাটিতে শুয়ে থাকলাম না
খেয়ে।। ভোরে বাড়ীর পথ খুজে হাটতে হাটতে বাড়ী এলাম ৮/ ৯ টার দিকে। সকালের
পান্তা ভাতের সাথে গালি তো খেতেই হল ভাগ্য ভালো যে বাবা বাড়ীতে ছিলেন না।
তাহলে গালে ও পিঠে বোনাস হিসেবে আরো কিছু খেতে হত। শরীয়তপুরের ক্রিতি
সন্তান জননেতা আব্দুর রাজ্জাক আলী আহমেদ স্যার আবিদুর রেজা খান আসবেন
গোসাইর হাটের নাগেরপাড়া হাটে জনসভায় বক্ত্রিতা দেবার জন্য। আমি হাজির এবং
মঞ্চের সামনে গিয়েই দাঁড়িয়ে স্থানীয় নেতা ভাতিজি জামাই মিলু বক্ত্রিতা
দিলেন। আমি জানিনা যে সে আমাদের আত্মীয় হয়। মিলু মঞ্চ থেকে নামার পরেই
বললাম ভাই আমি একটা গান গাবো। সে শুনলো কি শুনলো না বুঝলাম না। পাশের একজন
বল্ল কি গান গাবেন? শেখ মুজিবকে নিয়ে। সে লোক গিয়ে কাকে যেনো বললেন এবং
আমাকে দেখিয়ে বললেন ঐ ছেলে। খুশিতে কাপসি কি গাবো? ঐ জনসভায় যাবার সময় একটা
গান মনে মনে রচনা করেছিলাম। তাও ভুলে গেছি শেষের পংতি। এবার নাম ঘোষনা
দিলেন। খাসের হাট থেকে আসা একজন মুজিব ভক্তের নিজের লেখা শেখ মুজিবের গান।
সে সময় আমার জ্ঞানইবা কত টুকুন আর বাংলা ভাষা সম্পর্কীয় কোন প্রাঞ্জল
শব্দের সাথে পরিচয়ই ছিলনা। আমি মাদ্রাসার আহুমের ছাত্র কিন্তু মন
মানসিকতা অন্য রকম। মনে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে মঞ্চের মাইক সে মানদাতা
আমলের গোলাকার মাইক্রোফোন। সব চেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় ছিল যে ঐ দিন আলী আহমেদ
স্যার এবং রাজ্জাক ভাই আমার কন্ঠ এবং গানের কথা মনে রেখেছিলেন অনেক দিন।
কি গেয়েছিলাম, কি উলটা পালটা শব্দ চয়নে রচেছিলাম সে গান মনে পড়ছে না তবে
অন্তরায় উল্লেখ করেছিলাম "আমরা সবাই মুজিব হবো, নির্যাতনের বদলা নেবো
পশ্চিমা সব হায়েনাদের এমন উচিত শিক্ষা দেবো, জাগো রে বাংগালী জাগো আর
ঘুমাইও না।। পরের কথা মঞ্চেই মনে পড়ছিলনা এখনতো একেবারেই মনে নাই। আলী
আহমেদ স্যার ডাকলেন, তোমার বাড়ী কই? বাবার নাম গ্রামের নাম বল্লাম।
ছাত্রনেতা মিলু জামাই বললেন আমাদের আত্মীয়। বাস আমি হিরো। রাজ্জাক ভাই
নাকি মিলুকে বলে গিয়েছিলেন ঐ ছেলেটাকে জনসভাগূলোতে গান করাতে পারো সে ভালোই
গায়। কাজে লাগাও।
No comments:
Post a Comment